নারী ফুটবলে বড়দের পর এবার ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের কিশোরীরাও। গত মাসে ঋতুপর্ণা চাকমা, মণিকা চামকা, আফঈদা খন্দকাররা মিয়ানমারের মাঠে চমক দেখিয়ে বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার টিকিট এনে দেন। তাদের দেখানো পথে এবার প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের টিকিট পেল অনূর্ধ্ব-২০ নারীরাও। ইতিহাস গড়লেন সাগরিকা, তৃষ্ণারা।
মিনিট পর গোল পরিশোধ করে কোরীয়রা। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে কোরীয়দের গতি আর কৌশলের কাছে অসহায় হয়ে পড়েন আফঈদারা। বাংলাদেশের রক্ষণকে হতবিহ্বল করে একের পর এক গোল উৎসব করে কোরীয় মেয়েরা। শেষ পর্যন্ত ৬-১ গোলের বিশাল জয় তুলে নিয়ে মূল পর্বে নাম লেখায় দুইবারের সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।
এ ম্যাচে ড্র করলেই চলত বাংলাদেশের। যদিও প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া বলেই কাজটা কঠিনই ছিল আফঈদাদের। লাওসের বিপক্ষে অনেকটা বিবর্ণ থাকলেও বাংলাদেশকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করল কোরীয়রা। দাপটে জয় তুলে নিয়ে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ২০২৬ সালের অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের টিকিট নিশ্চিত করল দলটি। এ জয়ে বাংলাদেশকে তারা অনিশ্চয়তায় রাখে। পরে ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে লেবাননকে ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দেয় চীন, এতে বাংলাদেশ পেয়ে যায় এশিয়ান কাপের মূল পর্বের টিকিট!
দেশের ফুটবল ইতিহাসে সর্বপ্রথম ১৯৮০ সালে কুয়েতে এশিয়ান কাপে খেলে বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল। তারপর ঋতুপর্ণারা গত মাসে এশিয়া কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ইতিহাস গড়েন। এছাড়া ২০০৫ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপে খেলে বাংলাদেশের মেয়েরা। ২০১৭ ও ২০১৯ সালের আসরেও খেলেছেন তারা। এবার বাংলাদেশ জাতীয় নারী দল ও অনূর্ধ্ব-২০ দলও এশিয়ার মঞ্চে নিয়ে যাচ্ছেন লাল-সবুজ পতাকা।
আগামী বছর মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় বসছে মেয়েদের সিনিয়র এশিয়ান কাপ ফুটবল আসর। পরের মাসে থাইল্যান্ডে বসবে অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ ফুটবল। দুটিতেই থাকছে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এবং দুটিতেই যা হবে প্রথম!