চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) পরিসংখ্যান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাঈমা নীর্মার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সংগঠনের প্রচার সম্পাদক সাঈদ বিন হাবিব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ শোকবার্তা জানানো হয়।
এক যৌথ শোকবার্তায় ছাত্রশিবির চবি শাখার সভাপতি নাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী নাঈমা নীর্মা ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আমরা নিহত শিক্ষার্থী নাঈমা নীর্মার রুহের মাগফিরাত কামনা করে তার পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করছি। আল্লাহতায়ালা মরহুমাকে ক্ষমা করুন, জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।
চবি মেডিকেলের বেহাল দশার কথা উল্লেখ করে নেতারা বলেন, নাঈমা নীর্মা অসুস্থ হলে তাকে চবি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে যথাযথ চিকিৎসা সেবা পায়নি। বর্তমান সময়ে গিয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থার এমন বেহাল দশা অত্যন্ত লজ্জাজনক।19:12:22
- চবি মেডিকেল সেন্টারকে আধুনিকায়নের দাবি জানিয়ে নেতারা বলেন, ২৪ এর বিপ্লবের পর ছাত্রশিবির, চবি শাখা প্রশাসনের কাছে অতিসত্বর চবি মেডিকেল সেন্টারে আধুনিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণের দাবি জানিয়েছিল। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এর বাস্তবায়নে যথাযথ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে চবি মেডিকেল সেন্টারে আধুনিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা
চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে চিকিৎসকের গাফিলতির অভিযোগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পরিসংখ্যান বিভাগের এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
ওই ছাত্রীর নাম নাঈম নির্মা। সে পরিসংখ্যান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেট এলাকার একটি বাসার দুই তলায় থাকতেন ওই ছাত্রী। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বাসার অন্য দুই জনের সহযোগিতায় নাঈমাকে চবি মেডিকেলে নেওয়া হয়। পরে দুপুর ২টার দিকে অক্সিজেন দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক সান্তনু মজুমদার। তবে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে এক নম্বর গেট এলাকায় গেলে সিলিন্ডারের অক্সিজেন শেষ হয়ে যায়। পরে হাটহাজারী থেকে একটি সিলিন্ডার কিনে পুনরায় চমেক হাসপাতালের উদ্দেশে যান তারা। সেখানে পৌঁছলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
Reporter: Rajib Islam
STUDENT JOURNALIST