মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেল ৩টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় গনি খাঁ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ প্রহরায় কারাগারে নেয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত গণি খাঁ নগরকান্দা উপজেলার গোয়াইলপোতা গ্রামের আমির খার ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূর স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল রাতে শ্বশুর গনি মিয়া তাকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে একই বছরের ২৮ জুন নগরকান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন ওই গৃহবধূর ভগ্নিপতি (বোন জামাই)।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন রাতে গৃহবধূ ঘুমিয়ে থাকলে তার ঘরে প্রবেশ করে গণি খাঁ। তখন ভয়ভীতি দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূ শারিরীকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে ওই গৃহবধূ ঘটনার বর্ণনা দেন এবং তার বোন জামাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারী কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ঘটনাটি প্রমাণিত হলে বিচারক গনি খাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।