বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্লোগাননির্ভর রাজনীতির দিন এখন ফুরিয়ে এসেছে। জনগণ এখন প্রচলিত রাজনীতির একটি পরিবর্তন চাইছে। তাদের এই আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য প্রতিশ্রুতি নয়, বরং বিএনপি বিশ্বাস করে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নে।
তিনি বলেন, প্রতিশোধ-প্রতিহিংসা এড়িয়ে সাহস ও সততার সঙ্গে এগিয়ে গেলে বাংলাদেশের সামনে সমৃদ্ধ-সম্ভাবনার সব দ্বার উন্মুক্ত।
বাংলাদেশের জনসংখ্যাই হতে পারে সাফল্য ও সমৃদ্ধির নিয়ামক।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরে অবস্থিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে ‘যুবসমাজের প্রত্যাশা এবং বিএনপির পরিকল্পনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সমাবেশ যৌথভাবে আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
কোরআন তিলাওয়াত ও জাতীয় সংগীতের পর অনুষ্ঠান শুরু হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, ‘দেশে ও বিদেশে আমাদের দেশের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করাই হচ্ছে আমাদের আগামী দিনের রাজনীতি। প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে যুবশক্তিকে প্রযুক্তিনির্ভর করে কিভাবে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা যায়, এটি হবে আমাদের রাজনীতির অন্যতম মূল লক্ষ্য।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের এই আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য একটা প্ল্যানিং আমরা তৈরি করছি। জনগণের জীবনমান উন্নয়নের সকল পরিকল্পনা যদি বাস্তবায়ন করতে হয়, বিএনপির প্রতি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন প্রয়োজন।
বাংলাদেশে জনগণের শক্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আগামী জাতীয় নির্বাচনে আপনাদের সহযোগিতা ও সমর্থন প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, “দেশের সকল নারী পুরুষ ছাত্র তরুণ যুবসমাজসহ সর্বস্তরের জনগণের কাছে আমার আহবান, আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিন, দেশ গড়ার সুযোগ নিন। যাঁরা আমাদের নেতাকর্মী আছেন, যাঁরা সংবাদকর্মী আছেন, সকলের মাধ্যমে আমি দেশের সকল মানুষের কাছে এতটুকু বলতে চাই, ‘ভোট দিলে ধানের শীষে, দেশ গড়ব মিলেমিশে’।”
একই অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের নেতার দূরদৃষ্টি, প্রজ্ঞাময় রাজনীতির কারণে তিনি ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনটাকে নিয়ে এসেছেন। তাঁর কাজটা তিনি করেছেন।
এখন আমাদের কাজ হচ্ছে এই নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা, যেন আমাদের দিকে আঙুল তুলে কেউ বলতে না পারে যে, আমরা আওয়ামী লীগের মতো ভোট নিয়ে গেছি। আমরা বড় দল, এখন আওয়ামী লীগ নেই, আমাদেরকেই একটা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন যেন হয় সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
তিনি বলেন, “একটা কথা সব সময় বলা হয়, ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’, অর্থাৎ যত ব্যাড, বিএনপি। যেহেতু সামনের দিনে বিএনপির রাষ্ট্র পরিচালনা করার সম্ভাবনা আছে, সুতরাং তার বিরুদ্ধে এইসব অপপ্রচার করে খাটো করার চেষ্টা হচ্ছে।”
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ও বিভিন্ন ইউনিটের কর্মীরা।