৪০তম বিসিএস ছিল সাঈদা আক্তারের জীবনের প্রথম বিসিএস পরীক্ষা। প্রথমবারেই তিনি ফিশারিজ ক্যাডারে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন।
শৈশবে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়া এবং সমাপনীতে প্রথম হওয়ার পর থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। তবে ২০১৩ সালে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত নম্বর না পাওয়ায় সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। পরে ভর্তি হন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অনুষদে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই বিসিএসের প্রস্তুতি শুরু করেন সাঈদা।
২০১৬ সালে কোচিংয়ে ভর্তি হয়ে নিয়মিত প্রস্তুতি নিলেও টার্ম সিস্টেমের কারণে তাকে পড়াশোনা ও পরীক্ষা একসঙ্গে সামলাতে হয়েছে। গাজীপুর থেকে ফার্মগেটে যাতায়াত করে ক্লাস ও পরীক্ষা দেওয়া, রাতে ভাইয়ের বাসায় থাকা এবং আবার সকালে ক্লাসে যোগ দেওয়ার মতো কষ্টসাধ্য রুটিন পার করতে হয়েছে তাকে।
প্রিলিমিনারি উত্তীর্ণ হওয়ার পর লিখিতের জন্য ঢাকায় কোচিং নেন তিনি। নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকা থেকে নোট তৈরি, ইংরেজি কলাম পড়া, গণিত অনুশীলন ও বোর্ড বই মনোযোগ দিয়ে অধ্যয়ন তাকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
২০১৯ সালে মাস্টার্স রিসার্চ চলাকালীনই লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি চালিয়ে যান। পরে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তিনি বিসিএস ভাইভায় অংশ নেন এবং সফল হন। এর আগে মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবেও সুপারিশপ্রাপ্ত হন তিনি।
সাঈদার কথায়, “সফল হতে হলে অবশ্যই পরিশ্রমী হতে হবে। প্রিলির সঙ্গে সঙ্গে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিতে হবে। নিয়মিত সংবাদপত্র পড়তে হবে এবং নিজের দুর্বল জায়গাগুলোতে বাড়তি সময় দিতে হবে।”
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তার মূল পরামর্শ— অধ্যবসায়, পরিকল্পনা আর মনোবল ধরে রাখতে পারলেই যেকোনো লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।